সরকারি প্রণোদনা, অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মধ্য দিয়ে দিন দিন মাদারীপুরে বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
জলাবদ্ধ ও পতিত জমিতে কম খরচে বেশি মুনাফা পাওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষে। বাণিজ্যিকভাবে এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ভালো ফলন ও বাজারে এসব সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষকরা দিন দিন অনুপ্রাণিত হচ্ছেন সবজি চাষে।
এখন বস্তা পদ্ধতিতে উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আর এ পদ্ধতিতে সবজি চাষে অপার সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
কৃষক মনতোষ বিশ্বাস বলেন, আমার পতিত জমিতে এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে আমি লাভবান হয়েছি। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সহায়তা নিয়ে ৩৫টি বস্তা ও ৭টি ডিপি পদ্ধতিতে সবজি চাষে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫-১৬ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হয়েছে। আরও ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, বস্তা পদ্ধতির চাষের শুরুতে ৩০ কেজি মাটির সঙ্গে পরিমাণমতো জৈব সার, খৈল ও রাসায়নিক সারের মিশ্রণ বস্তায় ভরে প্রায় তিন ফুট উঁচু করা হয়। কয়েক দিন পর তাতে লাউ, চিচিঙ্গা, উচ্ছে, করলা, ঝিঙে, পুঁইশাক, মরিচ, আদা, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, রসুন ও পেঁপেসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির বীজ বপন অথবা চারা রোপণ করা হয়।
বস্তা ও ডিপির ৪ থেকে ৬ ফুট উঁচুতে তৈরি করা হয় বাঁশের চালি বা মাচা। সে চালির ওপর দড়ি দিয়ে বোনা জালের ওপর বাড়তে থাকে বিভিন্ন সবজির লতা পাতা আর সেখানে ঝুঁলতে থাকে বিভিন্ন প্রকারের সবজি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মিল্টন বিশ্বাস বলেন, বৃহত্তর বরিশালসহ সাত জেলার কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণসহ সব কলাকৌশল ও উদ্বুদ্ধকরণের মধ্য দিয়ে বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ শুরু করা হয়েছে। এতে কৃষকরা সফল হয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।